রিপোর্ট: মুস্তাক আহমদ
হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, পবিত্র কোরআন'কে যদি তিন ভাগ করা হয়, তাহলে সেই তিন ভাগের একভাগ নবীদের কাহিনী'তে ভরা ৷
অপরদিকে যদি কেউ প্রশ্ন করা হয়,— আল্লাহপাক তো ১ লাখ ২৪ হাজার নবী-রসুল পাঠিয়েছেন৷ এত নবী দুনিয়াতে আসা স্বত্তেও পবিত্র কোরআনে মাত্র ২৫-জন নবীর নাম বা কাহিনী কেন উল্লেখ করা হয়েছে ?
উপরে উল্লেখিত গুরূত্বপূর্ণ প্রশ্নের সহজ সরল জবাব এমন হতে পারে, — অন্তিম নবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ)-এর পরবর্তী সময় থেকে কিয়ামত পরবর্তী আল্লাহপাক তাঁর মনোনীত যে বারো মাসুম ইমাম পাঠিয়েছেন, সেই নিষ্পাপ ইমামগনদের মর্যাদার সঙ্গে বা ইমামগণের মূল্যবান জীবনী'র সঙ্গে যেসব নবীদের সাদৃশ্য পাওয়া গেছে, আল্লাহপাক সেইসব নবীগণদের নাম ও কাহিনী উল্লেখ করেছেন তাঁর প্রেরিত আল কোরআনে৷ যাতে পবিত্র কোরআন বার বার পাঠ করে নবী পরবর্তী মাসুম ইমামগণদের চিনতে মানতে সক্ষম হয় ৷
তা যায় হোক, আজ আমরা আলোচনা করবো, হযরত আদম (আঃ)-এর কাহিনী সম্পর্কীত কিছু গুরুত্বপুর্ণ বিষয়৷
আলোচনার প্রথমেই সহজে বোঝবার সুবিধার জন্য একটি প্রশ্ন দিয়ে শুরু করি —
প্রশ্নগুলি হলঃ —
(১) কয়েক লাখ বছর আগে ঘটে যাওয়া আদম (আঃ)-এর সিজদা ও আযাজিলের ইবলিশে পরিণত হওয়ার ঘটনাটি কেন আল্লাহপাক তাঁর প্রেরিত আল কোরআনে উল্লেখ করেছেন ?
(২) এবং সেই ঘটনাটি'কেই বার বার বার পড়ার নির্দেশ দিয়ে বিশাল নেকির ঘোষণা করছেন??
(৩) প্রাচীনকালে আজজালি আদম (আঃ)-কে সিজদা না করে ইবলিশ হয়েছে, - ঘটনাটি আমাদেরকে কেন এত পড়তে হবে? আমাদের কেন এত জানতে হবে? আমাদের কেন এত বুঝতে হবে ?? বুঝলেই বা লাভ কি হবে ? না বুঝলে কতটা ক্ষতি হবে ??
এবার আসা যাক মূল আলোচনায় ৷ দশম হিজরীর ১৮-ই জিলহজ, গাদীরে খুম নামক স্থানে আল্লাহর রসুল (সঃ) মওলা আলী (আঃ)-এর দুই হাত তুলে লক্ষধিক সাহাবীদের সম্মুখে 'মানকুন তো মওলা ফাহাজা আলীউন মওলা' এই গুরুত্বপূর্ণ কলেমা ব্যক্ত করে হযরত আলীর বেলায়তের আনুষ্টানিক ঘোষণা করেন৷
গাদীরে খুমের এই আনুষ্টানিক ঘোষণার সঙ্গে হযরত আদম (অঃ)-কে সিজদা করার ঘোষণা নিবিড় ভাবে জড়িত৷ যেমন যারা হযরত আদম (আঃ)-কে মেনে নিয়ে সিজদা করেছেন তারা যেমন কামিয়াব হয়েছেন আর যে সিজদা না করে অভিষপ্ত হয়েছে, তেমন গাদীরে খুমের হযরত আলী (আঃ)-এর মওলায়িত অর্থাৎ বেলায়ত'কে যারা মেনে নিয়েছেন এবং সারা জীবন দ্বারা কাজে কর্মে স্বীকৃতি দিবেন, তারা সফল ৷ আর যারা মেনে না নিয়ে অস্বীকার করেছেন তারা দ্বীন দুনিয়ায় বিফল ও আজাজিলের মত অভিষপ্ত ৷